ওদের পরিকল্পনা ছিল আমাকে হত্যা করা
৬ তারিখ ববৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় প্রতিদিনের ন্যায় আমার পিতা বাড়িতে এসে দরজা লাথি মারে চলে যায়। আমাদের হুমকি দেয় তোরা বাড়িতে থাকিস কি করে আমি দেখে নিব!)এই কথা বলে নিজ বংশের এবং গ্রাম থেকে প্রায় কয়েক শত মানুষ এনে আমাদের বাড়ি দিকে আসতে থাকে আমার মা তখন বাড়ির বাইরে ছিলেন ওদের উপস্থিত দেখতে পেয়ে দৌড়াই পালাবার চেষ্টা করে,তখন আমাদের বাড়ির পল্লি-বিদুৎতের লোকেরা আমার মা কে উদ্ধার করে সেরে রাখেন। কিছু সময় পরে তারা সবাই আমাদের বাড়ি চার পাশ ঘিরে রাখেন এবং আমার পিতা সবাইকে বলেন কেউ যেন পালাতে না পরে আজ সবাইকে মেরে ফেলবো। ঘরের ভিতর আমার আপা মুরশিদা খানম( ২২) আমি মোঃ ওহিদুজ্জামান (নাঈম)( ২১) আর আমার ছোট ভাই ভাই সাকিব(১৫)আমরা তিন ভাই বোন
ছিলাম ।
আপা ঘরের ভিতর ছিল ছোট ভাই ওদের ভয়তে চাঙ্গের উপর এবং আমি মাঁচার তলে লুকিয়ে ছিলাম। গ্রামের মুরব্বি আমার চাচাতো দাদা হবি মুন্সী আমার আপাকে বলে দরজা খোল তোর ভয় নেই আমি আছি। আপা তার কথায় যখন দরজা খুললেন তখন আমার পিতা সহ সন্ত্রাসী আহাদ ফয়সাল আমার পিতার হুকুমে সবাইকে বলে এই মাগিরে ধরে পাড়া তখন আমার নিজের পিতাসহ আহাদ ফয়সাল শত শত মানুষের সামনে নিষ্ঠুর ভাবে আপাকে মাটিতে ফেলে পাড়াতে শুরু করে। কষ্টে আমার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে আমি বের হতে পারছি না। আমার ছোট ভাই সহ্য করতে না পেরে নিচে নেমে আসে তার সর্বচেষ্টা করে আপাকে বাঁচাবার চেষ্টা করে ,ছোট ভাই সাকিব কে আহাদ মাথার উপরে উঠিয়ে আচড়াতে লাগলো এদিকে ওর কান্নায় আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। যখন মাঁচার তল থেকে বের হলাম। তখন ওহিদ আমাকে দেখে ফেলে এবং উচ্চস্বরে বলে এই যে নাঈম তখন আহাদ ফয়সাল এবং আমার পিতার ঘরের ভিতর ডুকে আমাকে মারতে মারতে ঘর থেকে বের করে। শত শত মানুষের সামনে নিষ্ঠুর ভাবে লাঠি দিয়ে আমার মাথা, হাত, পা তুলে পেটাতে থাকে। এবং ওরা আমার বা চোখের ভিতর লাঠি ডুকিয়ে চোখ উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।ওদের পরিকল্পা ছিল আমাকে ওরা হত্যা করবে তখন প্রতিবেশি রুমা, সিমা, নাছি কাকি এবং আরো কয়েক জন আমাকে উদ্ধার করতে আসে তাদের ওরা মারধর করে। পাশের বাড়ির নাজু ভাই আমার চিৎকার শুনতে পেয়ে এসে আমাকে ওদের হাত থেকে উদ্ধার করে। গ্রামের একটা মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমাকে বাঁচাতে আসে নাই! মনে হচ্ছে সবাই দাড়িয়ে নাটকের সুটিং দেখছে। এদিকে আমার অবস্থা ভাল না দাদা নিজে এবং নাজু ভাই রিফাত এবং সৌরভ কে দিয়ে মুহুর্ষ অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে আমি ডঃ সুমন রায় এর অধীনে চিকিৎসারত অবস্থায় আলাফাডাঙ্গা সদর হাসঁপাতালে আছি।
ইস্থানীয় এবং গনমাধ্যম কর্মি সহ প্রসাশন আলাফাডাঙ্গার সর্ব সাধারন এই বিষয় অবগত হবার পর ও এখন পর্যন্ত আমার সন্ত্রাসী পিতা সহ আমাকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিল সবাই আইনের চোখের আরালে ধরা ছুয়ার বাইরে আছে এবং তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে মারার জন্য হুমকি দিয়ে আচ্ছে। আমি এর সুস্থ্য তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
0 Comments